বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে আরও একবার আস্থা রাখা হয়েছে টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা করেছে, শান্তর অধিনায়কত্বের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যা অন্তত আগামী এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে। সেই দায়িত্বে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দেখানোর পরই বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত।
শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় পেয়েছে, বিশেষ করে ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে। যদিও টি-টোয়েন্টিতে দল এখনো খুঁজছে স্থিতিশীলতা, তবে তার কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার দক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছে সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের কাছ থেকে।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শান্ত এখনও তরুণ, কিন্তু তার মধ্যে নেতৃত্বের পরিপক্কতা দেখা যাচ্ছে। সে শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও দলের সঙ্গে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা তার ওপর আস্থা রাখছি, এবং মনে করি সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে পারবে।”
অধিনায়কত্ব বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শান্ত নিজেও ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এক প্রতিক্রিয়ায় শান্ত বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ বিসিবির প্রতি, আমাকে এত বড় দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। এটি শুধু সম্মান নয়, একটি বড় চ্যালেঞ্জও। আমি চেষ্টা করব দলকে সেরা অবস্থানে নিয়ে যেতে এবং তরুণদের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি শক্তিশালী দল গড়ে তুলতে।”
তবে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে শান্তকে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থক ও বিশ্লেষকরা। তবে বোর্ড বিশ্বাস করে, শান্তর মধ্যে শেখার আগ্রহ রয়েছে এবং তার নেতৃত্বে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি দেখা যাবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন সিরিজগুলোতে শান্তই থাকছেন দলের নিয়মিত অধিনায়ক, যার মধ্যে রয়েছে ভারতের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজ, নিউজিল্যান্ড সফর এবং আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, শান্তর কাঁধে এখন জাতীয় দলের নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব। তার কৌশল, মানসিক দৃঢ়তা ও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেট যাত্রা। সময়ই বলে দেবে শান্ত এই আস্থার প্রতিদান কতটা দিতে পারেন।
