বিএনপি এমন একটা বাংলাদেশ চায় যেখানে বৈষম্য থাকবে না...

0

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না—বলেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই যেখানে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিশ্চিত থাকবে। একটি শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গঠনে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।”

বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার মানুষের অধিকার হরণ করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত, বিরোধী মত প্রকাশের সুযোগ নেই। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি চায় এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে একজন কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, শিক্ষার্থী এবং নারী—সবারই সমান অধিকার থাকবে। রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, আমরা চাই একটি সার্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সমাজে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তা শুধু অর্থনৈতিক নয়; শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি ও বিচার ব্যবস্থায়ও গভীর বৈষম্য বিরাজ করছে। এই বৈষম্যই দেশের অগ্রযাত্রার প্রধান বাধা।”

বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখনও সময় আছে—গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। দেশের জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, মত প্রকাশ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করুন।”

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন সময় গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, তবে মানুষ কখনোই চুপ করে থাকেনি। আগামী দিনেও জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হবে।

মির্জা ফখরুল শেষে বলেন, “আমরা বৈষম্যহীন, মানবিক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। এটা শুধু বিএনপির নয়, এ দেশের প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি আবারও তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেছে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য থাকবে সমান অধিকার, ন্যায়বিচার ও মর্যাদা।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top