গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির মাধ্যমে যে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত। তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত করা এখন সময়ের দাবি।’
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। সমাবেশে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানানো হয়।
নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও দেশের জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের নেতাকর্মীরা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, বিদেশে বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। অথচ সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হলে, যারা রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট করেছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বেকার, তরুণরা হতাশ, কৃষক ন্যায্য দাম পায় না, শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পায় না— অথচ একটি দল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এটা চলতে পারে না।’
নুর সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বলেন, শুধু রাজনৈতিক নিপীড়ন নয়, আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক দুর্নীতির মাধ্যমেও রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘গরিবের পেটে মারছে, আর নিজের পকেট ভরছে— এমন একটা সরকারের পতন এখন সময়ের দাবি।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ফারাবী শাকিলসহ অনেকে। বক্তারা সরকারের পদত্যাগ এবং একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
নুর বলেন, ‘আমরা জনগণের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি— দুর্নীতিবাজদের বিচার করে, তাদের লুটপাট করা অর্থ জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও কৃষি খাতে ব্যয় করা হোক। তাহলেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
তিনি সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।