১ জুলাই থেকে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

0
আগামী ১ জুলাই ২০২৫ থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর।

নতুন এই মহার্ঘ ভাতা কাঠামো অনুযায়ী, বেতন স্কেলের ওপর নির্ধারিত হারে ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। পূর্বে যেখানে ডিএ ছিল ৪৫ শতাংশ, সেখানে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে মূল বেতনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিমাসে অতিরিক্ত অর্থ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে, সরকারি কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে সরকার এ ব্যয় বহন করতে প্রস্তুত।

সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের যুক্তি ছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারের এই সদয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন হারটি প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ওপর প্রযোজ্য হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের ওপরও এই হার প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “সরকার সব সময় চায় কর্মচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করুক। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ডিএ বৃদ্ধির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।”

এই সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক ও সময়োপযোগী বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে, কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে, নইলে এর প্রকৃত সুফল সাধারণ কর্মচারীরা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন না।

সব মিলিয়ে বলা যায়, নতুন ডিএ হার কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে এবং তা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top