এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসনাত বলেন, “আমরা প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাচ্ছি। ঘোষণাপত্রটি হবে গণমানুষের প্রত্যাশা ও দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে একটি ঐতিহাসিক দলিল। এটি একদল রাজনীতিক বা বিশেষ গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে নয়, বরং সকল নাগরিকের কল্যাণে তৈরি করা হচ্ছে।”
জানা গেছে, ঘোষণাপত্রটিতে সমন্বিত রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচন পদ্ধতির আধুনিকায়ন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন, তরুণদের ক্ষমতায়ন, এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকবে। হাসনাতের ভাষায়, “এটি হবে একটি প্ল্যানডকুমেন্ট, যেখানে প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ থাকবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বর্তমান রাজনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন বিকল্প রাজনীতির ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের বাইরে একটি দায়িত্বশীল ও আধুনিক নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের কাছে এটি আশার আলো হতে পারে।
হাসনাত আরও বলেন, “আমরা আর অপেক্ষা করতে চাই না। মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায়, একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ চায়। আমাদের ঘোষণাপত্রে এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নৈতিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা।”
তিনি জানান, ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রায় প্রস্তুত এবং এখন তা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রতিনিধি এবং পেশাজীবীদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে, হাসনাতের এই ঘোষণাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি শুধু একটি দলিল নয়, বরং একটি ‘পলিটিক্যাল ম্যানিফেস্টো’—যা আগামীদিনের নেতৃত্বের মানদণ্ড নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
২১ কর্মদিবস বাকি থাকলেও, তার প্রতিটি দিনই এখন গুরুত্বপূর্ণ। দেশের রাজনীতিতে সম্ভাব্য এই পরিবর্তন কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত রাজনৈতিক সচেতন মহলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘিরে বাড়ছে কৌতূহল ও প্রত্যাশা।