ট্রাম্পের কথায় 'ভারত-পাকিস্তান উভয়ই খুশি'

0


 সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন যে, তাঁর মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই "খুশি" হয়েছিল। এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।


ট্রাম্পের মতে, তাঁর প্রশাসনকালে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে উভয় দেশের সাথে তাঁর আলোচনা হয়েছিল এবং তখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। তিনি বলেন, “আমি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম, ভারত ও পাকিস্তান—দু’পক্ষই খুব খুশি ছিল। আমি তাদের সাথে কথা বলেছিলাম, এবং তারা জানত যে যদি কিছু হয়, আমি সেখানে থাকব।” ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণার এক সভায়, যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং তাঁর আগের প্রশাসনের সাফল্য নিয়ে কথা বলছিলেন।


উল্লেখ্য, ট্রাম্প ২০১৯ সালে হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ করেছেন। যদিও ভারত সরকার সে সময় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং এতে তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকা নেই।


ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এই মন্তব্য নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁর প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক অতীতেও নানা ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে, তবে বড় কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি খুব কমই দেখা গেছে।


অন্যদিকে, পাকিস্তানের কিছু রাজনৈতিক মহলে ট্রাম্পের বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে।


ট্রাম্প ২০২4 সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর বক্তব্যগুলো তাই এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে তাঁর অবস্থান ভবিষ্যতের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।


সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনো অনেক দূরের বিষয়, তবুও প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের এমন মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ কূটনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top