সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকে আলোচনায় থাকা লায়লা সম্প্রতি এক ভিডিওতে প্রিন্স মামুন নামের আরেক টিকটকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এর জবাবে প্রিন্স মামুন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে লায়লার নামে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে দাবি করা হয়েছে, লায়লা তার ভিডিওতে প্রিন্স মামুনের ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন এবং এতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে।
নোটিশে লায়লাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে, অন্যথায় মামুন আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানানো হয়। মামুনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লায়লার এমন আচরণ উদ্দেশ্যমূলক এবং তা তাঁর সামাজিক অবস্থান ও অনলাইন ক্যারিয়ারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে বিভিন্ন স্পনসরশিপ ও ব্র্যান্ড চুক্তিও ঝুঁকিতে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
লায়লার মন্তব্যের সূত্রপাত একটি সাম্প্রতিক টিকটক লাইভ থেকে, যেখানে তিনি কিছু নাম উল্লেখ না করেই ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন। কিন্তু দর্শকদের বড় একটি অংশ ধারণা করেন, তিনি মূলত প্রিন্স মামুনকে ইঙ্গিত করেই এসব কথা বলেছিলেন। বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে, এবং সামাজিক মাধ্যমে দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে শুরু হয় মতবিরোধ।
লায়লার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ভিডিওটি কারো বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না এবং এটি একটি সাধারণ লাইভ কথোপকথনের অংশ ছিল। তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকাদের দায়িত্বশীল আচরণের গুরুত্ব আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করার আগে প্রমাণ ও প্রসঙ্গ বুঝে তবেই কথা বলা উচিত, নইলে তা মানহানির পর্যায়ে পড়তে পারে।
এদিকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। কেউ লায়লার পক্ষে, কেউ মামুনের পক্ষে মত দিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি আইনি পর্যায়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও, এটি ভবিষ্যতে অন্যদের জন্য একটি শিক্ষা হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া অনেক তারকাই এখনো আইনি সীমারেখা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নন। এই ঘটনার পর হয়তো অনেকেই নিজেদের আচরণ ও বক্তব্য নিয়ে আরও সতর্ক হবেন। এখন দেখার বিষয়, লায়লা এই লিগ্যাল নোটিশের কী জবাব দেন এবং পুরো বিষয়টি কোন দিকে মোড় নেয়।