বিশ্বস্ত সূত্র মতে, একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গেছে, এই তালিকায় শাওন ও হারুন ছাড়াও একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।
অভিনেত্রী শাওনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে, অতিরিক্ত কমিশনার হারুনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কয়েকটি বিতর্কিত অভিযান পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে, যা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এদিকে, বিমানবন্দরসহ দেশের সব স্থল ও নৌবন্দরে অভিযুক্তদের দেশত্যাগ রোধে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শিগগিরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করবে বলেও জানা গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিরোধী দল দাবি করছে, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই ধরনের নাটক সাজাচ্ছে। তবে সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন সবার জন্য সমান এবং দোষীদের কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উচ্চপর্যায়ে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও অনেকে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
