পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এই উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকা ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের সময় কাটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির শীর্ষ নেতারাও ব্যতিক্রম নন। কারা কোথায় ঈদ করবেন—তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তার কন্যা ও স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের নামাজ ও কোরবানি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদ উদযাপন করবেন তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। বরাবরের মতো এবারও তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন এবং পশু কোরবানি দিবেন। ঈদের পরদিন স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঈদ করবেন ঢাকার তার নিজ বাসভবনে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের দিন কাটাবেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি রাজধানীতেই ঈদ উদযাপন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসায়। তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করবেন। তবে ঈদের পরপরই তিনি কিছু সামাজিক ও দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঈদ উদযাপন করবেন ঢাকার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি একটি বাসায়। শারীরিক অসুস্থতা ও রাজনৈতিক কারণেই তিনি রাজধানী ছাড়ছেন না। তবে ঈদের দিন তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।
দলের অন্যান্য নেতারা যেমন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঈদ করবেন চট্টগ্রামে, সেলিমা রহমান ঈদ করবেন ঢাকায়, আর নজরুল ইসলাম খান পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাবেন তার নিজ এলাকা মানিকগঞ্জে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা যেখানেই থাকুন না কেন, ঈদের আনন্দ তাদের রাজনৈতিক ব্যস্ততাকে কিছুটা হলেও হালকা করে তুলবে। পাশাপাশি ঈদের এ সময়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে দলীয় কার্যক্রমও সচল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
