ভারতের উত্তরাঞ্চলের অন্তত ৫টি বিমানবন্দর – যার মধ্যে জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর এবং লেহ বিমানবন্দর রয়েছে – বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব বিমানবন্দর সাধারণত বেসামরিক ও সামরিক উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এগুলো বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখা হয়। বিমানবন্দরগুলো বন্ধ থাকায় আকাশপথে চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কিছু গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো ভারতে হামলার পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে সীমান্তে পাক যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি বেড়েছে, যা ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর ফলে বেসামরিক বিমানবন্দরগুলোর মাধ্যমে হামলার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের পদক্ষেপ সাধারণত তখনই নেওয়া হয় যখন সামরিক বাহিনী জরুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ ধরনের পরিস্থিতি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা ও তার পরবর্তী বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময়ও দেখা গিয়েছিল, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
অন্যদিকে পাকিস্তানও সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই এমন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি যুদ্ধের পূর্বাভাস না হলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
ভারতের সাধারণ মানুষ ও পর্যবেক্ষক মহল এই ধরনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা চাইছেন, পরিস্থিতি যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং যুদ্ধংদেহী অবস্থান থেকে দুই দেশই সরে আসে।
পরিশেষে বলা যায়, পাকিস্তানের সম্ভাব্য হুমকির প্রেক্ষিতে ভারতের এই বিমানবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত এক জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। দুই দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যস্থতা এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হতে পারে।
আপনি চাইলে এই রিপোর্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র বা টাইমলাইন চার্টও যুক্ত করে দিতে পারি। কি দরকার?