বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বরং দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করে।” সোমবার এক গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির রাজনীতি ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতা অর্জনের জন্য নয়, বরং গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য।”
আমিনুল হক অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিরোধী দলগুলোকে দমন করছে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক করে তুলেছে। তার মতে, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে, যাতে করে সরকার নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, “সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, এমনকি তাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। একতরফা নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে পারে না, কথা বলতে পারে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একমাত্র পথ হচ্ছে জনগণের ঐক্য এবং গণআন্দোলন।”
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হলেও, সরকার সেটি আমলে নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। “এই সরকার জানে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না,”—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাই তারা বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”
তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপি কোনোভাবেই পিছু হটবে না।”
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, দেশের মানুষ আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। সাধারণ মানুষের জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “এই সরকার উন্নয়নের কথা বলে অথচ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো উপেক্ষা করে যাচ্ছে। বিএনপি জনগণের কষ্ট লাঘব করতে ও দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।”
শেষে তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও তরুণদের এক হয়ে এই ‘অগণতান্ত্রিক শাসনের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। আমিনুল হকের ভাষায়, “এখন সময় এসেছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করার।”