ঘটনার পেছনে জানা যাচ্ছে, স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে এক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রথমে স্বামী কিছুটা ধৈর্য ধরলেও পরে তাদের দাম্পত্য কলহ চরম আকার নেয়। পারিবারিকভাবে বহুবার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু স্ত্রী সম্পর্ক ছিন্ন করতে অস্বীকৃতি জানান।
দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রণা স্বামীকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। কাছের বন্ধুবান্ধবের ভাষ্য অনুযায়ী, স্ত্রী নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন এবং স্বামী ক্রমেই একাকীত্বে ভুগছিলেন। এমন এক পরিস্থিতিতে হঠাৎ স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানেন।
স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বামী যে কষ্ট পেয়েছেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়, কিন্তু তাঁর স্ট্যাটাসে যে ধরনের বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে, তা থেকে বোঝা যায়, কষ্টের পাশাপাশি একরকম রাগ ও ক্ষোভও মিশে আছে। “পরকীয়ার মজা এবার বুঝলা...” — এই বাক্যটিই মূলত মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, পরকীয়া সম্পর্ক শুধু একজনের জীবন নয়, গোটা পরিবারকেই ভেঙে দিতে পারে।
নেটিজেনদের অনেকে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকেই বলছেন, মৃত মানুষের প্রতি কিছুটা সহনশীল হওয়া উচিত। কেউ কেউ লিখেছেন, “যা হয়ে গেছে, তা নিয়ে এত প্রকাশ্যে রাগ দেখানো কি উচিত?” আবার অন্যপক্ষ বলছে, “মানুষের সহ্যেরও তো সীমা থাকে।”
এই ঘটনা নতুন করে সামাজিক মাধ্যমে এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে — পরকীয়ার কারণে কতগুলো সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, কত মানুষ মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর সেই ক্ষত কখনো কখনো সারাজীবন বহন করতে হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের দাম্পত্য সমস্যায় খোলামেলা আলোচনা, কাউন্সেলিং, এবং প্রয়োজনে আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গ শুধু দুজন মানুষ নয়, সন্তানসহ পুরো পরিবারকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে।
এই ভাইরাল স্ট্যাটাসের পর অনেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন অনলাইনে। কেউ লিখেছেন, “আমি বুঝি এই ব্যথা, কারণ আমারও জীবন এমন অবস্থায় গেছে।” আরেকজন লিখেছেন, “ভালোবাসা যদি শেষ হয়, সেটি মেনে নিয়ে সরে আসাই শ্রেয়, প্রতারণা নয়।”